Header Ads Widget

সালমান শাহ

 


জন্ম চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার
১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
দাড়িয়া পাড়া, সিলেট, বাংলাদেশ
মৃত্যু ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ (বয়স ২৪)
ইস্কাটন প্লাজা, ঢাকা, বাংলাদেশ
সমাধি শাহ জালাল (র.) মাজার প্রাঙ্গণ, সিলেট, বাংলাদেশ
জাতীয়তা বাংলাদেশি
অন্যান্য নাম "বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র", "নায়কদের নায়ক", "আধুনিক ঢালিউডের প্রথম সুপারস্টার", "অমর মহানায়ক", "স্বপ্নের নায়ক"
মাতৃশিক্ষায়তন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ
পেশা মডেল, অভিনেতা, গায়ক
কর্মজীবন ১৯৮৬–১৯৯৬
পরিচিতির কারণ কেয়ামত থেকে কেয়ামত
বিক্ষোভ
সুজন সখি
স্বপ্নের ঠিকানা
কন্যাদান
মায়ের অধিকার
এই ঘর এই সংসার
সত্যের মৃত্যু নেই
আনন্দ অশ্রু
দাম্পত্য সঙ্গী সামিরা হক (বি. ১৯৯২–১৯৯৬)
স্বাক্ষর




চলচ্চিত্রে অভিষেক

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে সালমান শাহ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনন্দ মেলা তিনটি হিন্দি ছবি সনম বেওয়াফা, দিল ও কেয়ামত সে কেয়ামত তক এর মেধাস্বত্ব নিয়ে সোহানের কাছে আসে এর যে-কোনো একটির বাংলা পুনঃনির্মাণ করার জন্য। কিন্তু তিনি উক্ত ছবিগুলোর জন্য উপযুক্ত নায়ক-নায়িকা খুঁজে না পেয়ে সম্পূর্ণ নতুন মুখ দিয়ে ছবি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। নায়িকা হিসেবে মৌসুমীকে নির্বাচিত করলেও নায়ক খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তখন নায়ক আলমগীরের সাবেক স্ত্রী খোশনূর আলমগীর 'ইমন' নামে একটি ছেলের সন্ধান দেন। প্রথম দেখাতেই তাঁকে পছন্দ করে ফেলেন পরিচালক এবং সনম বেওয়াফা ছবির জন্য প্রস্তাব দেন, কিন্তু যখন ইমন 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক' ছবির কথা জানতে পারেন তখন তিনি উক্ত ছবিতে অভিনেয়র জন্য পীড়াপীড়ি করেন। তার কাছে কেয়ামত সে কেয়ামত তক ছবি এতই প্রিয় ছিলো যে তিনি মোট ২৬ বার ছবিটি দেখেছেন বলে পরিচালক কে জানান। শেষ পর্যন্ত পরিচালক সোহানুর রহমান তাঁকে নিয়ে কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন এবং ইমন নাম পরিবর্তন করে সালমান শাহ রাখা হয়।[২৩] পরে মৌসুমীর বিপরীতে তিনি আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ছবি তিনটি হলো অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪), স্নেহ (১৯৯৪) ও দেনমোহর (১৯৯৫)। শিবলী সাদিক পরিচালিত অন্তরে অন্তরে হিন্দি চলচ্চিত্র আও পেয়ার করের অনানুষ্ঠানিক পুনঃনির্মাণ, স্নেহ পরিচালনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও শফি বিক্রমপুরী পরিচালিত দেনমোহর হিন্দি চলচ্চিত্র সনম বেওয়াফার আনুষ্ঠানিক পুনঃনির্মাণ।[২৪]

তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র জহিরুল হক ও তমিজউদ্দিন রিজভী পরিচালিত তুমি আমার চলচ্চিত্রটি ব্যবসাসফল হয়। পরিচালক জহিরুল হক চলচ্চিত্রটির কিছু অংশ নির্মাণ করার পর মারা যান। পরে তমিজউদ্দিন রিজভী বাকি কাজ শেষ করেন।[২৫] এই চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো তার বিপরীতে অভিনয় করেন শাবনূর।[২৬] পরে তার সাথে জুটি বেঁধে একে একে সুজন সখি (১৯৯৪), বিক্ষোভ (১৯৯৪), স্বপ্নের ঠিকানা (১৯৯৪), মহামিলন (১৯৯৫), বিচার হবে (১৯৯৬), তোমাকে চাই (১৯৯৬), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬), জীবন সংসার (১৯৯৬), চাওয়া থেকে পাওয়া (১৯৯৬), প্রেম পিয়াসী (১৯৯৭), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭) সহ মোট ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছেন।[২৭] সবকটি ছবি ব্যবসাসফল হয়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে শাবনাজ এর সাথে আশা ভালবাসা (১৯৯৫) ও মায়ের অধিকার (১৯৯৬), লিমা এর সাথে প্রেমযুদ্ধ (১৯৯৪) ও কন্যাদান (১৯৯৫), শিল্পী এর সাথে প্রিয়জন (১৯৯৬), শাহনাজ এর সাথে সত্যের মৃত্যু নেই (১৯৯৬) এবং বৃষ্টি এর সাথে এই ঘর এই সংসার (১৯৯৬) অন্যতম।[২৮]

সালমান শাহ মৃত্যুর আগে মন মানে না ছবির ৫০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন; তার মৃত্যুর পর চিত্রনায়ক রিয়াজ কে দিয়ে ছবিটি করানো হয়। এছাড়াও কে অপরাধীতুমি শুধু তুমিপ্রেমের বাজি সহ একাধিক মুভি সালমান শাহ অর্ধেক শুটিং করে মারা যান। পরবর্তীতে প্রেমের বাজি ব্যতীত বাকি সিনেমাগুলি অন্য নায়কদের দিয়ে নতুন করে শুটিং করা হয়। সালমানের অসমাপ্ত সিনেমার মধ্যে একমাত্র প্রেমের বাজি সিনেমার কাজ পরে আর শেষ হয় নি।[২৯]

Post a Comment

0 Comments